নিহত অজি উল্লাহ (৩০) টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৯৫৯ শেডের ২২ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি সংঘবদ্ধ রোহিঙ্গা ডাকাত দল 'জকির বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন।’
এ ঘটনায় আটক মো. খুরশেদ আলম (৩৯) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মোছনী নয়াপাড়ার আবু তাহেরের ছেলে, সাইফুল ইসলাম (২০) বাহারছড়া ইউনিয়নের রাজারছড়ার নজির আহমদের ছেলে এবং মোহাম্মদ আমিন (২৫) টেকনাফের জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক-বি/১১ এর বাসিন্দা আব্দুর রহিমের ছেলে।
এদের সবার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে টেকনাফ থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, শুক্রবার বিকালে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া পাহাড়ী এলাকায় রোহিঙ্গা ডাকাত দল 'জকির বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করছে’ খবরে পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়।
গোলাগুলি থামার পর দৌঁড়ে পালানোর সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, "উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।"
এছাড়া, সেখানে তল্লাশি করে একটি বিদেশি পিস্তল, তিনটি দেশি বন্দুক, ১০টি গুলি, ৩৪টি গুলির খালি খোসা, চারটি পিস্তলের গুলি, একটি পিস্তলের ম্যাগজিন, সেনা বাহিনীর দুইটি জ্যাকেট, র্যাবের পাঁচটি শার্ট ও দুইটি প্যান্ট, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির পাঁচটি জ্যাকেট ও তিনটি প্যান্ট পাওয়া যায় বলেও জানান ওসি।
“এ ডাকাত দলের কাছে সেনাবাহিনী, র্যাব ও মিয়ানমারের বিজিপির পোশাক কীভাবে এলো তা নিয়ে তদন্ত চলছে।”
এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।