‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম’, ‘কে হিন্দু কে মুসলমান’ সহ অসংখ্য গানের রচয়িতা এই বাউল সম্রাট।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উজানধল গ্রামবাসীদের আয়োজনে তাদের গ্রামের মাঠে লোক উৎসবের উদ্বোধন করেন অর্থনীতিবিদ ড. খলিকুজ্জামান।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. খালিকুজ্জামান বলেন, শাহ আব্দুল করিম গানের মাধ্যমে দারিদ্রের, মানুষের, অসাম্প্রদায়িক ও দেশপ্রেমের কথাসহ সমাজের প্রত্যেকটা বিষয় সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
“তিনি একুশে পদক পেলেও একটি দুঃখ রয়ে গিয়েছে সেটি হল-তার জীবনদশায় যতটুকু স্বীকৃতি পাওয়ার কথা ছিল তা কিন্তু হয়নি।”
বর্তমানে শাহ আব্দুল করিমকে সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে সেটি যেন আরো সম্প্রসারিত করা হয়। তাকে রাষ্ট্রিয় পদকে ভূষিত করা একটি দাবি জানান তিনি।
শাহ নুর জালাল বলেন, খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি বাবার গানের বিকৃতি ঘটে। আমি সেটা বিবেচনা করে ২০১০ সালে শাহ আব্দুল করিম রচনাসগ্রহ কপি রাইট করিয়েছি।
“আমি অনেক সময় বলেছি যারা শাহ আব্দুল করিমের গান মঞ্চে গাচ্ছেন, আমার আপত্তি নেই কিন্তু যারা বাণিজ্য করছেন তারা আমাকে কিছুই জিজ্ঞেস করছেন না। আগামীতে চেষ্টা করব আমি আমার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত না হই।”
সভায় এছাড়াও বক্তব্য দেন, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী সুষমা দাশ, সানোয়ারা গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুজিবুর রহমান, পিকেএসএফ’র উপব্যবস্থাপক ড. মো. জসিম উদ্দিন, টিএমএসএস’র উপ-নির্বাহী পরিচালক মো. আব্দুল কাদের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. জাহেদা আহমদ প্রমুখ।
পরে রাতব্যাপী শাহ আবদুল করিম রচিত গান পরিবেশন করছেন শিল্পীরা।
শনিবার শেষ হবে দুইদিন ব্যাপী উৎসব।