সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা ও জায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী চার আসামির উপস্থিতিতে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন তিনি।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জগো (৪৫) সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের নফছের আলীর ছেলে।
পলাতকরা হলেন- শহিদুল ইসলাম, আলিম ওরফে ঝড়ো, বাবলু, রহমত ওরফে সাইদুল, মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, আলী হোসেন এবং ইউনুস আলী। এরা সবাই কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ অক্টোবর সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার বাড়ইপাড়ায় জিকে খালের ব্রিজের রেলিং থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির দেহবিহীন মাথা এবং এর পাঁচশ মিটার দূর থেকে মাথাহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায় নিহতের নাম ফরিদুল; তিনি সাজাপ্রাপ্তদের সংঘবদ্ধ অপরাধচক্রের সদস্য ছিলেন।
আলামতহীন এ ঘটনা উদ্ঘাটনে তদন্তে একটু বেশি সময় লাগার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশুলী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, ইবি থানা এলাকার চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলাটির রায়ের মধ্য দিয়ে অপরাধ জগতের লোকরা একটি সংকেত পেয়েছে; ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।
হত্যাকণ্ডের বিবরণ দিতে গিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, মাকিন মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে আটকে রাখে সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য ফরিদুল ও অমূল্য। তবে মুক্তিপণ আদায়ের কৌশল নিয়ে ফরিদুলের সাথে তাদের অপরাধচক্রের জগোসহ অন্যদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ সময় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দৌঁড়ে পালাতে চেষ্টা করে ফরিদুল। তবে অন্যরা ধাওয়া করে তাকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দেহ থেকে মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।