রোববার জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যাচাইবাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী এই দুই প্রার্থীর মনোনংনপত্র বাতিলের ঘোষণা দেন।
ফলে এই আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী রইল না। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমিরুল আলম মিলনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এই দুইজন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বিএনপি মনোনীত কাজী খায়রুজ্জামান শিপন এবং জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত সাজন কুমার মিস্ত্রীর।
বাগেরহাট-৪ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) মনোনীত প্রার্থী সাজন কুমার মিস্ত্রী ব্যাংকে ঋণ রয়েছে এবং বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের ব্যাংক ঋণ ও পৌর কর বকেয়া রয়েছে।
“তারা তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।”
ইউনুচ আলী জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া এই দুইজন আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন। প্রার্থীদের আপিলের তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিশন তাদের প্রার্থিতার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে।
গত ১০ জানুয়ারি বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ১৯ ফেব্রুয়ারি এই আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। আগামী ২১ মার্চ এই আসনে ভোট গ্রহণের কথা রয়েছে।