ফুল মার্কেটের ফুল ব্যবসায়ীরা শহীদ মিনারের পাশে ফুলের ময়লা ও আবর্জনা ফেলেন। সকাল-সন্ধ্যা সেখানে গরু বিচরণ করে। অনেক পথচারী শহীদ মিনারের পেছনের অংশে টয়লেট সারেন।
শহীদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষা ও সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে উদীচী গোপালগঞ্জ জেলা সংসদের সভাপতি নাজমুল ইসলাম গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র বরাবর একটি আবেদন করেছেন।
আবদেনপত্রে বলা হয়, সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার শহীদ মিনার চত্বরে সাইকেল, ভ্যান, রিকশা বিক্রির হাট বসানো হয়। এছাড়া শহীদ মিনারের পেছনে গড়ে উঠেছে বাথরুম। পশ্চিম পাশের ওয়াকওয়েতে ফুলের ময়লা-আবর্জনা ফেলে ডাস্টবিন করে রাখা হয়। রাতে শহীদ মিনার চত্ত্বরে বখাটের উৎপাত বেড়ে যায়। সারা বছরই শহীদ মিনারে এমন চিত্র বিরাজ করে। এতে শহীদ মিনারের পবিত্রতা নষ্ট হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার এহিয়া খালেদ সাদী বলেন, “মুজিববর্ষে দেশ-বিদেশের অনেক মানুষের সমাগম ঘটবে গোপালগঞ্জে। তাই আমাদের শহীদ মিনারকে এ অবস্থায় রাখা যাবে না। এছাড়া গোপালগঞ্জে কোনো উন্মুক্ত মঞ্চ নেই। তাই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো এ শহীদ মিনারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। কিন্তু চারপাশে আবর্জনা থাকার কারণে দুর্গদ্ধে ভোগান্তি পোহাতে হয় অনুষ্ঠানে আসা লোকজনকে।”
পৌরসভার কাছেই শহীদ মিনারের অবস্থান হলেও এসব সমস্যা সমাধানে মেয়র, কাউন্সিলর, কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা দৃষ্টি দেন না বলেও অভিযোগ করেন খালেদ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু বলেন, “লিখিত আবেদনটি আমি এখনও হাতে পাইনি। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ব্যাপারে আমি ব্যাবস্থা নেব “
দেয়াল দিয়ে শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ করে এর পবিত্রতা রক্ষার পাশাপাশি এ ব্যাপারে যা যা করণীয় তা করার আশ্বাস দেন তিনি।