মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নড়াইলের নড়াগাতি থানার মুন্সী মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রের পাশে বড়দিয়া বাজারের এক কম্পিউটার কম্পোজের দোকান থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কালিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিবুল আলম তাদের এক মাস করে কারাদণ্ডাদেশ দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বড়দিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক আশিকুজ্জামান,
তিনি পাটনা গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়া, দোকানি একই গ্রামের মিঠুন চক্রবর্তী (২৪), তালবাড়িয়া গ্রামের সরজিত দাস (২৩) ও অসিত দাস (২৫)।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিবুল আলম বলেন, তাদের কাছে গণিতের যে প্রশ্ন পাওয়া গেছে, তা ছিল প্রিন্ট করা কপি।
“ধারণা করা হচ্ছে, পরীক্ষার হল থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এ প্রশ্ন ওই কম্পিউটারের দোকানে পাঠিয়েছে। পরে তা প্রিন্ট করে সমাধানের চেষ্টা চলছিল।”
এ দিকে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া নড়াগাতির ডুমুরিয়া গ্রামের সজীব শেখ (২৫) নামে এক যুবককে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে জানা যায়, মুন্সী মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনের সময় সহকারী কমিশনার নাজিবুল আলম খবর পান-ওই কেন্দ্রের পাশে বড়দিয়া বাজারের এক দোকানে গণিত বিষয়ের সৃজনশীল প্রশ্নের সমাধান (উত্তর) তৈরি করে কেন্দ্রে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
এরপর সেখানে অভিযান চালিয়ে গণিতের শিক্ষক আশিকুজ্জামানসহ ওই চারজনকে প্রশ্নসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।