মঙ্গলবার দুপুরে দৌলতখান উপজেলার সরকারি আবি আব্দুল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষার সময় তাদের আটক করা হয়। এরপর মাদ্রাসার সুপারকে দুই বছর ও এক ছাত্রীকে এক বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়নগর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. জাকির হোসেন এবং একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী লিজা আক্তার।
এ ঘটনায় আটক জয়নগর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির অন্য শিক্ষার্থীদের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায়, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এরা সবাই তাদের প্রতিষ্ঠানের ‘অন্য পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে নিজেদের ছবি লাগিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল।’
ভোলা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দৌলতখানের সরকারি আবি আব্দুল্লাহ কলেজ কেন্দ্রে দাখিল হাদিস বিষয়ের পরীক্ষার চলছিল।
“এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আতাহার মিয়া, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (শিক্ষা আইসিটি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।
“এ সময় ওই কেন্দ্র থেকে ১০ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। এরা সবাই দৌলতখানের জয়নগর বালিকা দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাদের প্রতিষ্ঠানের অন্যের শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডে নিজেদের ছবি লাগিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আসে তারা।”
এ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই মাদ্রাসার সুপার মো. জাকির হোসেনকেও আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সুপার জাকিরকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও প্রক্সি (অন্যর হয়ে পরীক্ষা দান) দেওয়া ছাত্রীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রক্সি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অন্য নয় ছাত্রীর বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাদেরকে কেন্দ্র সচিবের মাধ্যমে নিয়মিত মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান তিনি।