সোমবার এ কেন্দ্রে ২০২০ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রের বদলে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম মামুনুর রশিদ।
তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট বৃদ্ধি করা হয়।
“ফলে সকাল ১০ টায় শুরু হয়া পরীক্ষা বেলা ১টার পরিবর্তে দেড়টায় শেষ হয়।”
এ ঘটনায় অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষারত আজিজার রহমান নামে এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পরীক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।
“এমন ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি হয় এবং সুষ্ঠু পরীক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হয়।”
ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।
চলতি এসএসসি পরীক্ষায় এ কেন্দ্রে ২০১৮ সালের সিলেবাসের একজন পরীক্ষার্থী রয়েছে উল্লেখ করে ওই কেন্দ্রের সচিব মোছা. রুমিলা ইয়াসমিন বলেন, “কিন্তু ভুল করে ১৩৩ জন পরীক্ষার্থীকেই ২০২০ সালের সিলেবাসের প্রশ্নের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাসের নৈব্যত্তিক ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র কেন্দ্রের সরবরাহ করা হয়।
“প্রায় ৩০ মিনিট পরীক্ষা চলার পর বিষয়টি নজরে আসে। তখন বিষয়টি দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে ফোনে জানানো হয়। তার নির্দেশক্রমে পরীক্ষার্থীদেরকে আবারো নতুন করে ২০২০ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়।”
এ জন্য ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট বাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।