ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া থেকে শনিবার তাদের গ্রেপ্তার করেছে।
এরা হলেন টঙ্গী পূর্ব থানাধীন শিমুন এলাকার বাসিন্দা সরোয়ার হোসেন বাবু (৩০), সালেহা বেগম (৪৫) ও সালাহ উদ্দিন (৩৫)।
র্যাব-১ এর কোম্পানি কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন নিহতের স্বজনদের বরাত দিয়ে জানান, প্রায় এক বছর আগে সারোয়ার হোসেন বাবুর সঙ্গে পারিবারিকভাবে সাথীর বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে বাবু ও তার পরিবারের লোকজন সাথীর পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে এবং যৌতুকের টাকা না পেয়ে তারা সাথীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে।
র্যাব কমান্ডার মামুন বলেন, সাথীর বাবা মেয়ের সুখের চিন্তা করে বাবুকে ২ লাখ দিলেও তারা বাকি টাকার জন্য নির্যাতন অব্যাহত রাখে।
“এর জের ধরে গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানাধীন শিলমুন পূর্ব পাড়ায় একটি ফ্ল্যাটে সাথীর স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর তাকে ব্যাপক মারধর করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে স্বামী তার মা-বাবা ও ভাইয়ের সহযোগিতায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে সাথীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।”
ওসি বলেন, এ ঘটনায় সাথীর বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তাররা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাথী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।