বগুড়ার গাবতলী পৌর মেয়র সাইফুল কারাগারে

টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগে বগুড়ার গাবতলীর পৌর মেয়র সাইফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2020, 03:18 PM
Updated : 20 Jan 2020, 03:18 PM

সোমবার তারসহ পাঁচজনের জামিন আবেদনের উপর শুনানি শেষে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।

অন্যরা হলেন গাবতলী পৌর সচিব শাহিন মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর রহমান, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ ও ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর সামছুল আলম।

গাবতলী পৌরসভার ২০১৪-১৫ অর্থবছরের উন্নয়ন কাজের ৮২ লাখ টাকা টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ করা এই মামলায় গাবতলী উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কে এম আবু হাশেমকেও কারাগারে পাঠায় আদালত।

২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর পৌর সদরের পূর্বপাড়া গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে মেসার্স তানভীর ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আতাউর রহমান বগুড়ার স্পেশাল জজ আদালতে পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম ও পৌর ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর ইসলামকে অভিযুক্ত করে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার প্রেক্ষিতে ওই আদালত দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় বগুড়াকে মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম গোপনে ও প্রকাশ্যে মামলার তদন্ত করে বিগত ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সাত জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

এ মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-গাবতলী পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম, পৌর ইঞ্জিনিয়ার আমিনুর রহমান, উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ, পৌর সচিব শাহিন মাহমুদ, উপ-সহকারী প্রকৌশলী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর কেএম আবু হাশেম, ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর সামছুল আলম ও ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আফরোজা বেগম।

মামলায় অভিযুক্তরা এর আগে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন। জামিনের মেয়াদ শেষে ২০ জানুয়ারি বগুড়ার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে জামিন আবেদন না মুঞ্জুর করে আদালত।

পৌর মেয়র সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক উন্নয়ন কাজের অনিয়ম করে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।