তাদেরই একজন সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ চরচান্দিয়া গ্রামের আবুল বশরের ছেলে রিপন মিয়া।
রিপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এ বছর তিনি তার গ্রামের ৬০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছেন। প্রতিটা গাছ থেকে সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন রস পাওয়া যায়।
“এসব গাছ থেকে দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ লিটার রস মেলে। প্রতি লিটার ৫০ টাকা দরে বেচি। রস বেচে দৈনিক তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা আয় হয়।”
রিপন বলেন, গাছ অল্প কিন্তু ক্রেতা অনেক। তাই রস নিতে চাইলে ক্রেতাকে অন্তত এক সপ্তাহ আগে বলে রাখতে হয়।
রিপন মূলত কৃষক। শীত শেষে তিনি আবার কৃষিকাজ শুরু করবেন। প্রতিবছর শীতে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ করেন বলে তিনি জানান।
ওই গ্রামের আরেক মৌসুমি গাছি মো. রুহুল আমিনের ছেলে একরামুল হক।
একরামুল বলেন, এ বছর তিনি ৩৮টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। এই রস বেচে তার দৈনিক প্রায় দুই হাজার টাকা আয় হয়।
গ্রামের মেঠোপথে একসময় সারি সারি খেঁজুর গাছ দেখা যেত। এখন কমে গেছে। এসব গাছ সারা বছর অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থাকে। কিন্তু শীতের শুরুতে গাছিরা পরিচর্যা শুরু করেন।
খেঁজুর রস কাঁচা খাওয়ার পাশাপাশি এ দিয়ে পায়েশ রান্না করেন অনেকে। তাছাড়া জাল দিয়ে গুড় বানানো হয়।
সোনাগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন মজুমদার বলেন, এ উপজেলায় শতাধিক গাছি রয়েছেন। দিন দিন গাছ কমে যাওয়ায় চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত রস সরবরাহ করতে পারছেন না তারা।
রাস্তার দুই পাশে কৃষকদের খেঁজুর গাছ লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, খেঁজুর গাছ ফসলের ক্ষতি করে না। এর জন্য বাড়তি খরচেরও দরকার হয় না। খেঁজুর রসের ব্যাপক চাহিদা থাকায় গাছিরা ভালো আয় করতে পারেন।