সদর উপজেলার গরিণাবাড়ি ইউনিয়নের মোন্নাপাড়া গ্রামে সোমবার সকালে ষষ্ঠ শ্রেণির এই মেয়ের (১৩) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মেয়েটির মা মামলায় অভিযোগ করেন, ধর্ষণের কারণে লোকলজ্জার ভয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
গ্রেপ্তার পলাশ (২০) একই গ্রামের আজিত আলীর ছেলে; পেশায় রাজমিস্ত্রি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে পলাশের বিরুদ্ধে মেয়েটির মা মামলা করেছেন। এ মামলায় দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে পলাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে এসআই মঞ্জুরুল বলেন, সোমবার ভোরে ঘুম ভেঙ্গে গেলে মেয়েটির মা দেখেন পাশে শুয়ে থাকা মেয়েকে পলাশ মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করছে। এ সময় তিনি মাথার চুল ধরে পলাশকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাক্কা দিয়ে পলাশ পালিয়ে যায়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সকালে তিনি স্থানীয় লোকজনকে এই ঘটনা জানাবেন বলে মেয়েকে নিয়ে আবার শুয়ে পড়েন। সকাল সাড়ে ৬টায় তিনি ঘুম থেকে উঠে দেখেন তার মেয়ে ঘরে নেই। বাইরে এসে দেখেন একটি গাছের ডালে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার দেহ ঝুলছে।
অভিযোগে বলা হয়, বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই পলাশ তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত ও কুপ্রস্তার দিত। নিজের সম্ভ্রম ও সম্মান রক্ষার জন্য তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।
থানা হাজতে থাকা গ্রেপ্তার পলাশের ভাষ্য, “প্রায় এক বছর ধরে মেয়েটির সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক। ভোররাত পর্যন্ত একই ঘরে একসঙ্গে থেকে আমি চলে যাই। পরে হয়ত মায়ের সঙ্গে ঝগড়া করে সে আত্মহত্যা করেছে।”