ভোলায় মামাত ভাইয়ের হাতে খুন হন নসু: পুলিশ

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মো. নাছির উদ্দিন ওরফে নসু মিয়াকে তার মামাত ভাই মো. বিল্লাল হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ভোলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Dec 2019, 07:52 AM
Updated : 16 Dec 2019, 10:39 AM

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, মোকাম্মেল নামে এক ব্যক্তিকে ‘ফাঁসাতে’ মানসিক ভারসাম্যহীন নসুকে হত্যা করা হয়। 

বোরহানউদ্দিন উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কাঁচা রাস্তা থেকে শনিবার সকালে ৪৫ বছর বয়সী নসু মিয়ার লাশ উদ্ধার পুলিশ। সে ভোলার লালামোহন উপজেলার মহেশখালী গ্রামের মো.সামসুদ্দিনের ছেলে।

ঘটনার বর্ণনায় এসআই বলেন, বিল্লালের স্ত্রীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের মোকাম্মেলের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। বিষয়টি জানার পর থেকে মোকাম্মলকে ফাঁসানোর ফঁন্দি শুরু করেন বিল্লাল।

এরই মধ্যে গত কয়েক দিন আগে নসু সাচড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেউলা শিবপুর গ্রামে নানা বাড়ি আসেন। মানসিক ভারসাম্যহীন নসুর কোনো স্থায়ী বসবাস ছিল না।

মোকাম্মেলকে ফাঁসাতে নসুকে কাজে লাগোনোর সুযোগ খোঁজেন বিল্লাল। এর প্রেক্ষিতে শুক্রবার সন্ধ্যার পর বিল্লাল মোকাম্মেল নামের এক ব্যাক্তির তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে যান। কিন্তু থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা না থাকায় ডিউটি অফিসার তাকে পরে আসতে বলেন।

“ওই রাতে বিল্লাল বাড়ি গিয়ে নসুকে গ্যাস্টিকের ওষুধের নাম করে ৪-৫টি ঘুমের ওষুধ খাওয়ান এবং কিছুক্ষণ পর তাকে বাড়ির পাশে একটি বিলের কাছে ডেকে নিয়ে যান।

“নসু সেখানে গেলে বিল্লাল প্রথমে পিছন দিক থেকে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেন। পরে নসু অজ্ঞান হয়ে গেলে ছুরি দিয়ে তার গলাকেটে হত্যা করে বাড়ি চলে যান বিল্লাল।”

এসআই বলেন, এরপর বিল্লাল মোকাম্মেলের বিরুদ্ধে তার ফুফাতো ভাই নসুকে গলাকেটে হত্যা করেছে মর্মে বোরহানউদ্দিন থানায় মামলা করতে আসেন। কিন্তু তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নসুকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

পরে পুলিশ বিল্লালের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা জামাকাপর উদ্ধার করে বলেও জানান তিনি।

বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক বলেন, নসু হত্যার ঘটনায় তার মামা জিয়াউল হক বাদী হয়ে বিল্লাল ও অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার প্রধান আসামি বিল্লালকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।