টাঙ্গাইলে যানজটে ভোগান্তিতে ২৩ জেলার যাত্রী

ঢাকা-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৩০০ মিটার সড়ক সম্প্রসারণের কাজের কারণে এক লেনে যান চলাচল করায় ভোগান্তি পোহাচ্ছে অন্তত ২৩টি জেলার যাত্রী।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিএম এ রাজ্জাকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2019, 08:46 AM
Updated : 15 Dec 2019, 08:46 AM

এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক সম্প্রসারণের কাজের কারণে পৌরবাসী ও এ বাসস্ট্যান্ডের দুই পাশের ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এছাড়াও এই পথ দিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগসহ উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অন্তত ২৩টি জেলার যাত্রীদের বুগতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।ভ

“সেই সঙ্গে এই যে ধুলার উড়াউড়ি, এতে করে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এলেঙ্গা হচ্ছে ব্যবসায়ী নগরী তাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। “

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিমুল এহসান বলেন, গত ১৩ নভেম্বর থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ৩০০ মিটার সড়কের দুই পাশের লেন সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই নির্মাণকাজ শেষ হবে।

“পরে মাঝের দুই লেন সড়কের উন্নয়ন করা হবে। সড়ক নির্মাণের কারণে কিছুটা যানজট হলেও নির্মাণকাজ শেষ হলে এলেঙ্গাতে আর যানজট থাকবে না।”

সড়কের এ কাজ শুরুর পর থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডের দুই দিকে প্রতিদিন অন্তত আট কিলোমিটার যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে।

এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকামুখী দীর্ঘ গাড়ির সারি প্রায় চার কিলোমিটার দূরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরের উৎসব ফিলিং স্টেশন পর্যন্ত গিয়েও ঠেকে। বঙ্গবন্ধু সেতুর দিকেও প্রায় চার কিলোমিটারের বেশি যানজটের সৃষ্টি হতে সরেজমিনে দেখা গেছে।

প্রতিদিন এ স্থানে যানজটে আটকা পড়ে অন্তত ২৩টি জেলার যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (এডমিন) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এক লেনে যানবাহন পারাপারের কারণে এলেঙ্গায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।

টাঙ্গাইল ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) এস এম শহিদুর রহমান বলেন, “এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কিছু সময় ঢাকার দিকে গাড়ি চলাচলের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আবার কিছু সময় ঢাকার দিক বন্ধ রেখে পার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন। ফলে দুই দিকেই কিছুক্ষণের জন্য যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।”

যানজট নিরসনের জন্য দুইজন ট্রাফিক পরিদর্শক, আটজন সার্জেন্ট, ছয়জন সহকারী ট্রাফিক সার্জেন্ট ও আটজন কনস্টেবল ওই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।