রবি থেকে বৃহস্পতিবার পাঁচ দিনে ৩০৬ জন ডায়রিয়া রোগী এই হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এখানকার আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস।
তিনি বলেন, বর্তমানে এখানে আরও ৯৪ জন ডায়রিয়া রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মঙ্গলবার চারজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
তারা হলেন গাজীপুর শহরের সামন্তপুর এলাকার নূরুল ইসলাম (৫৫), ছোট দেওড়া এলাকার মোয়াজ্জেম ওরফে মোজাম্মেল হক (২২), মজিদ (৪০) ও চাবাগান এলাকার ফিরোজ মিয়া (২৩)।
এছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
শহরের পূর্ব চান্দনা এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান আলী বলেন, তার শ্যালকের স্ত্রী সুমা সোমবার ডায়রিয়া আক্রান্ত হন। তাকে মঙ্গলবার তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল নেওয়া হলে সেখান থেকে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিতে বলেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
ভোগড়া বাইপাস এলাকার ৪৫ বছর বয়সী হেলাল উদ্দিন বলেন, তিনি বমি ও পাতলা পায়খানা নিয়ে দুই দিন আগে তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
জামতলা এলাকার ওসমান গণি (৬৫), সামান্তপুর এলাকার নূরুল ইসলামও (৭০) একই কথা বলেন।
হঠাৎ ডায়ারিয়ার প্রকোপ বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে চিকিৎসক প্রণয় ভূষণ বলেন, “কলেরার জীবাণুবাহিত পানি, আবহওয়ার পরিবর্তন, খাবারে দূষণ এবং নালার নোংরা পানি থেকেও এ রোগের বিস্তার লাভ করতে পারে।”
ঢাকা থেকে এক বিশেষজ্ঞ মঙ্গলবার খোঁজখবর নেওয়ার পাশাপাশি আক্রান্ত বিভিন্ন এলাকার পানির নমুনা নিয়ে গেছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সহকারী প্রকৌশলী (পানি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের সরবরাহ করা লাইনে কোনো ত্রুটি নেই। পানি দূষিত হওয়ার মত কোনো ঘটনাও নেই, যা থেকে ডায়রিয়া হতে পারে।
“তার পরও আমরা তা নিশ্চিত হতে পানির স্যাম্পল পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠাব। তবে কোনো এলাকায় বাসিন্দাদের পানি সংরক্ষণের নিজস্ব ট্যাঙ্ক থেকে পানি দূষণের মত ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।”