বুধবার সকালে ‘অসুস্থ হয়ে পড়ায়’ সাতজন শ্রমিককে অ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্টার জুট মিলের সিবিএ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান শেখ।
তিনি বলেন, “এছাড়া আরও ১০-১২ জন অসুস্থ শ্রমিককে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে।”
শীতের রাতে সড়কে থাকায় বুধবার সকাল থেকে শ্রমিকরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশের ২৬টি রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকলের মধ্যে ১২টি পাটকলের শ্রমিকরা এই আমরণ অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে খুলনা অঞ্চলের নয়টি, রাজশাহীর একটি নরসিংদীর একটি এবং চট্টগ্রামের একটি পাটকলের শ্রমিকরা রয়েছেন বলে শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন।
নেতৃত্বের কোন্দলের কারণে অন্য পাটকলের শ্রমিকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন নি বলেও জানান তারা।
আন্দোলনরতদের ১১ দফা দাবির মধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারীর সিদ্ধান্ত বাতিল, কাঁচা পাট কিনতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, অবসরে যাওয়া শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করা কথা রয়েছে।
গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে নগরীর খালিশপুরে বিআইডিসি সড়কে ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর ও স্টার জুট মিলের শ্রমিকরা অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
খুলনার আলিম, ইস্টার্ন এবং যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরাও তাদের মিলের সামনে অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
স্টার জুট মিল সিবিএর সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন জানান, তাদের প্রধান দাবি মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন। এই দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
এদিকে অনশন কর্মসূচির কারণে পাটকলগুলোতে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে বিআইডিসি সড়কের দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে একই দাবিতে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাজশাহী জুটমিলের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি শুরু পালন করছেন শ্রমিকরা।
বুধবার সকাল থেকে ১১ দফা দাবি মেনে নিতে তাদের শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোর শ্রমিকরা সভা, বিক্ষোভ মিছিলসহ ধর্মঘটের মত কর্মসূচি পালন করে আসছে জানিয়ে রাজশাহী জুট মিলসের সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জিল্লুর রহমান জানান, ১১ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চলবে।