সদর থানার ওসি মনিরুল ইসলাম জানান, বৌলতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস যুবলীগ নেতাসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক আবেদ মিয়া (৩৫) বৌলতলী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কলপুর গ্রামের জাহেদ মিয়ার ছেলে।
মামলার অপর আসামি হলেন আবেদের সহকারী পবিত্র বিশ্বাস।
বাদীর অভিযোগ, আবেদ ফেইসবুকে তার বিরুদ্ধে ‘নানা অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য’ ছড়িয়ে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। এতে তার সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে।
“আবেদের অত্যাচারে কলপুর গ্রামের মানুষ অতিষ্ঠ। তার ভয়ে বৌলতলী-ঘোনাপাড়া সড়ক রাতে নিরাপদ নয়। তার ছত্রচ্ছায়ায় কলপুর, সুরগ্রাম, রাউৎপাড়া এলাকায় অনেক বছর ধরে মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আড্ডা চলছে। বৌলতলী এলাকায় মধুমতী নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের কাছ থেকেও আবেদ নিয়মিত চাঁদা আদায় করেন। তার এসব কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধে ফেসবুকে নানা অশালীন ও আপত্তিকর তথ্য ছড়িয়ে সুনাম ক্ষুণ্ন ও হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন।”
অভিযোগ পাওয়ার পর প্রাথমিক সত্যতা যাচাই করে আবেদ ও পবিত্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড করা হয় বলে জানান ওসি মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর আবেদকে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামি পবিত্র বিশ্বাসকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।