মুক্তিযোদ্ধার সনদ ‘ছেঁড়ায়’ চিকিৎসকের শাস্তি দাবি

টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর মুক্তিযুদ্ধের সনদ ‘ছিঁড়ে ফেলার’ অভিযোগ ওঠায় এক চিকৎসকের শাস্তি দাবি করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি কাদের সিদ্দিকী।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2019, 12:52 PM
Updated : 25 Nov 2019, 01:00 PM

সোমবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান ভূঁইয়াকে দেখে এবং টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সাক্ষাতের পর কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

গত বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ কায়সার এই মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়ে ফেলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

কাদের সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, জেলা প্রশাসকের সাথে এ ব্যাপারে কথা হয়েছে; তার পক্ষে যতটুকু সম্ভব তিনি ততটুকু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, “চিকিৎসক শহীদুল্লাহ কায়সারের এত সাহস হলো কী করে যে তিনি মুক্তিযোদ্ধার সনদ ছিঁড়েন? আমি মনে করি এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান যথাযথ নিয়মে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু চিকিৎসক তাকে চিকিৎসার বদলে চরম অপমান করেছেন।”

তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ চিকিৎসককে বরখাস্ত, গ্রেপ্তার এবং তার ডাক্তারি সনদ বাতিলের দাবি করেছেন।

মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান খোকা সাংবাদিকদের বলেন, টাঙ্গাইলের রসুলপুর মহেড়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মো. শাজাহান ভূঁইয়া কোমর ও পায়ের জয়েন্টের হাড় ফেটে যাওয়ায় গত ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।

খোকা বলেন, এর চারদিন পর বৃহস্পতিবার হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ কায়সার সকালে ওয়ার্ডে ভিজিট করতে গিয়ে রোগী শাজাহানের ফাইলে রাখা মুক্তিযুদ্ধের সনদ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

“শহীদুল্লাহ বলেন- ‘এই সনদ কি রোগীর চিকিৎসা করবে, না ডাক্তার করবে’? বলে সনদটি ছিঁড়ে ফেলেন।”

এ ব্যাপারে সোমবার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নারায়ণ চন্দ্র সরকার বলেন, এ ঘটনা তদন্তে ব্যপারে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সদরউদ্দিনকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটিকে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান নারায়ণ।

এ ব্যাপারে ডা. শহীদুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।