কুষ্টিয়ার নারী ও শিশুনির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
তাছাড়া অপহরণ মামলায় তিন আসামিকে এক লাখ টাকা করে আর ধর্ষণ মামলায় এক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
অপহরণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাহিরমাদী চর এলাকার সাদেক আলী শেখের দুই ছেলে আজাদ শেখ, সিরাজুল ইসলাম ও বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার কামলা গ্রামের আশরাফ আলী শিকদারের ছেলে রুবেল শিকদার।
এই তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
ওই আদালতের পিপি সাইফুল ইসলাম বাপ্পী অপহরণ মামলার নথির বরাতে জানান, ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল সদর উপজেলার খাজানগরের কুরবান আলীর তিন বছরের মেয়েকে অপহরণ করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এ ঘটনায় আজাদ, সিরাজুল ও রুবেলের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন কুরবান আলী। তদন্ত শেষে ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর ওই তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
পিপি সাইফুল বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত তিনজনকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দিয়েছে। আসামিরা গ্রেপ্তারের দিন থেকে তাদের সাজা শুরু হবে।
এছাড়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছে।
এ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরিফুল ইসলাম (৩০) জেলার খোকসা উপজেলার রাজিনাথপুর গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে।
আরিফুল রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
পিপি সাইফুল ইসলাম বাপ্পী মামলার নথির বরাতে জানান, ২০১৭ সালের ১ অগাস্ট ১৬ বছরের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ঘরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন আরিফুল। এ ঘটনায় তার চাচা খোকসা থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত আরিফুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই সাজা দিয়েছে।