ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশায় শীতের আমেজ

কার্তিকের মাঝামাঝি হেমন্তের রাতে শিশির ঝরলেও ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে শেরপুরের জনপদ।

শেরপুর প্রতিনিধিমো. আব্দুর রহিম বাদল, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2019, 01:19 PM
Updated : 31 Oct 2019, 05:15 PM

সকালে শিশিরেভেজা পত্রপল্লব, ঝরে পড়া শিউলি ফুলে শীতের আগমনী বার্তায় ধরা পড়ছে অপূর্ব সৌন্দর্য। ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে ভাঁপা পিঠা। কুয়াশায় পথ চলতে বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যান ব্যবহার করছে হেডলাইট; তবু চলছে ধীরগতিতে। শীতের আমেজে সকালে বেড়েছে শহরে মানুষের হাঁটাহাঁটি।

শেরপুর শহরের চকপাঠক এলাকার ফকরুল মজিদ খোকন বলেন, “হেমন্তের ভোরে ঝরে পড়া শিউলি কুড়িয়ে নেওয়ার দৃশ্য এক অন্যরকম ব্যঞ্জনা তৈরি করে। দেখে মন ভরে যায়।”

“হেমন্তের আগমন কুয়াশা যেন আমাদের হাতছানি দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। এই ঋতুতে আমন ধান পেকে উঠছে। নবান্ন উৎসবের জন্য তৈরি হচ্ছেন কৃষকরা,” বললেন শহরের সংস্কৃতিকর্মী কমল চক্রবর্তী।

ফুটপাত থেকে ভাঁপা পিঠা কিনে খেতে খেতে শিশু জান্নাতুল মাওয়া অপ্সরা বলল, “আব্বা আমাকে ভাঁপা পিঠা কিনে দিয়েছে। আমার খুব ভাল লাগছে।”

শেরপুরের কবি রবীন পরভেজ বের হয়েছিলেন সকালের এই কুয়াশায়।

রবীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হেমন্তের সকাল, চারদিকে ধোঁয়া ধোঁয়া কুঁয়াশা—এ সময় এমন কুয়াশা সচরাচর দেখা যায় না। এ বছর মনে হচ্ছে শীত বেশি হবে।”

কুয়াশায় শীতের আমেজ আসায় বেচাকেনা বেড়েছে শহরের চকপাঠক এলাকার পিঠা বিক্রেতা উষা বেগমের।

উষা বলেন, “কুয়াশা পড়ছে। শীতের আমেজ বাড়ছে। বেচাকেনা ভাল হচ্ছে।”

তিনি চিতই পিঠা ও ভাপা পিঠা বানান বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।