বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক জানান, মন্দির কমিটির সভাপতি সত্যপ্রসাদ দাস মঙ্গলবার রাতে তাদের থানায় অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন।
বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভ নামে এক হিন্দু তরুণের ফেইসবুক আইডি হ্যাক করে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য ছড়ানোর পর রোববার ‘মুসলিম তাওহিদী জনতর’ ব্যানারে সমাবেশ হয় বোরহানউদ্দিন উপজেলা ঈদগাহে।
সেখান থেকে কয়েকশ মানুষ পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায়। দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন; আহত হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক।
তিনি বলেন, “রোববার দুপুরের দিকে হঠাৎ শতাধিক হামলাকারী এসে ভাওয়াল বাড়ির আট-নয় টি বাড়ি ভাংচুর করে এবং আমাকে মারধোর করে।”
বোরহানউদ্দিন থানা থেকে একটু দূরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থিত ভাওয়াল বাড়িতে হিন্দু-মুসলিমসহ গোটা চল্লিশেক পরিবার বাস করে।
বুধবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) আতাহর মিয়া, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল ফারুক ও বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক ভাওয়াল বাড়ি পরিদর্শন করেছেন।
ওসি এনামুল বলেন, মন্দির ও হিন্দু বাড়িতে হামলার ঘটনায় প্রকৃত আসামি ও অপরাধীদের খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের কাজ চলছে।