‘বাড়ির কাছে আরশিনগর, সেথা এক পড়শি বসত করে’- লালনের জনপ্রিয় এই পঙক্তিকে প্রতিপাদ্য করে বুধবার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় আখড়াবাড়িতে উৎসবের সূচনা হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা এবং লালন একাডেমির আয়োজনে এই স্মরণোৎসব চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত।
আখড়াবড়ির সংলগ্ন কালীগঙ্গা নদীর মাঠে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উৎসবের উদ্বোধন হয়।
তবে সকাল থেকে বাউল সাধুদের সাধন-ভজনে মুকতি হয়ে ওঠে সাঁইজির আখড়াবাড়ি।
লালন একাডেমির সভাপতি কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেনের সভাপতিত্বে উৎসব উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ।
ইতোমধ্যেই দেশ-বিদেশর কয়েক হাজার দর্শক ও ভক্ত আশেকান বাউল সাধকরা এসে জড়ো হয়েছেন সাঁইজির তীর্থধামে। মানবকল্যাণের কথা ও বাণী ধারণ করে আত্মিক প্রশান্তির সন্ধানে দীর্ঘদিন ধরে লালনতীর্থে আসা-যাওয়া এসব বাউল সাধকদের।
লালন একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সেলিম হক বলেন, লালনের ১২৯তম তিরোধান দিবসকে ঘিরে প্রতিবারের মতো এবারও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ আয়োজন করা হয়েছে।
উৎসবে প্রতিদিন সন্ধ্যায় লালন দর্শন নিয়ে আলোচনা সভা এবং গভীর রাত পর্যন্ত লালন একাডেমির শিল্পী ও দেশ-বিদশের খ্যাতনামা বাউল শিল্পীদের লালনগীতি পরিবেশিত হবে।
উৎসব ঘিরে আখড়াবাড়ি সংলগ্ন কালীগঙ্গা নদীর ধারে বসেছে বিশাল গ্রামীণ মেলা।