বুধবার খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার এ কথা জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, “শেখ বাহারুল আলম ভারত ও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক চুক্তি নিয়ে ফেইসবুকে লেখা পোস্ট করেছেন। এ জন্য তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।”
বুধবার সন্ধ্যায় খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে ফরিদ আহমেদ জানান।
কেন বাহারুলকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করা হবে না- আগামী সাত দিনের মধ্যে তা জানাতে নোটিস দেওয়া হয়েছে তাকে।
বিএমএ খুলনা শাখার সভাপতি শেখ বাহারুল আলম এর প্রতিক্রিয়ায় ৬ অক্টোবর এক ফেইসবুক পোস্টে লেখেন, ‘বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চুক্তির দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ করলে স্পষ্ট হয়- সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়া আর জনগণের স্বার্থে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এক নয়।’
দল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বাহারুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো কাগজ বা চিঠি পাইনি। তবে দল সম্পর্কে কোনো কথাই আমি আমার স্ট্যাটাসে লিখিনি। আমি যেটুকু লিখেছি, তা হলো ভারত যে সব বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থকে অগ্রাহ্য করছে, সেটা আমি আমার একান্ত ব্যক্তিগত অবস্থান থেকে সমালোচনা করেছি।
“এখানে প্রধানমন্ত্রী না, এখানে কোনো চুক্তি না, আওয়ামী লীগ বা দল সম্পর্কে আমার স্ট্যাটাসে কোনো শব্দ নেই। তাহলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ কীভাবে হবে?”