কুড়িগ্রাম পৌরসভার হাটিরপাড় হিঙ্গণরায় এলাকা থেকে শারমীন আক্তার (২৬) নামে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে কুড়িগ্রাম সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু সরকার জানান।
নিহত শারমীন ওই এলাকার মাইদুল ইসলাম বাবুর (৩০) স্ত্রী। একই এলাকার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মাইদুল ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
শারমীনের পরিবারের বরাতে রাজু বলেন, শারমীন ও মাইদুল প্রেম করে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে চার বছরের একটি সন্তান রয়েছে। মাইদুল লালমনিরহাট জেলায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন।আর শারমীন বাড়ির পাশেই একটি বেসরকারি ক্লিনিকে কাজ করতেন।
“ঘটনার দিন একটি বেসরকারি এনজিও থেকে কিস্তির ঋণ পাওয়ার কথা ছিল শারমীনের। তার আসতে দেরি হওয়ায় মাঠকর্মীর পরামর্শে শারমীনকে ডাকতে যান তার মা শাহিনা আক্তার। তিনি মেয়ের শশুর বাড়িতে গিয়ে দেখেন বাইরের ও ভিতরের ঘরের দরজা খোলা। এ সময় তার চার বছরের নাতি চিৎকার করে কাঁদছিল। পরে ঘরে ঢুকে মেয়েকে অন্ধকার মেঝেতে মৃত অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন।”
পরিদর্শক রাজু বলেন, “নাসরীনের মেয়ে তার নানিকে জানায়, তার বাবা মাকে মেরেছে।”
শারমীনের মা শাহিনা আক্তারের দাবি, “নেশাগ্রস্ত জামাই তার মেয়েকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় আরও কেউ থাকতে পারে।”
পরিদর্শক রাজু বলেন, তারা খবর পেয়ে শারমীনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠান। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।