বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসিম রেজা এ রায় ঘোষণা করেন বলে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আব্দুল আহাদ ফারুক জানিয়েছেন।
রায়ে একই সাথে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে, তা অনাদায়ে আরও পাঁচ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আসামি রায়হান মিয়া ঢাকার রমনা থানার শিকদার বাড়ি এলাকার শাহজাহান মোল্লার ছেলে।
মামলার বিবরণ দিতে গিয়ে হবিগঞ্জের কোর্ট ইন্সপেক্টর মো. আল-আমিন হোসেন জানান, রায়হান লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আব্দুল হাইকে বাবা ডেকে সেখানেই বসবাস করে আসছিলেন।
২০০৩ সালের ৮ অগাস্ট একই গ্রামের শরীফ মিয়ার ছেলে রুবেলকে মাছ ধরার কথা বলে নৌকায় করে পার্শ্ববর্তী হাওরে নিয়ে বলাৎকারের চেষ্টা চালায় সে।
“এ সময় রুবেল চিৎকার শুরু করলে ক্ষিপ্ত হয়ে তার হাত-পা বেঁধে পানিতে ফেলে দেয় রায়হান।”
ঘটনার তিন দিন পর হাওরে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা।
১১ অগাস্ট লাশ উদ্ধারের দিনই রুবেলের বাবা বাদী হয়ে রায়হানকে একমাত্র আসামি করে লাখাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০০৫ সালের ৫ অক্টোবর লাখাই থানার তৎকালীন এসআই শাহজাহান মিয়া আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৬ বছর পর ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) আব্দুল আহাদ ফারুক জানান, এ রায়ের পর নিহত শিশু রুবেলের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।