রিফাত হত্যা মামলা: আরেক আসামির আত্মসমর্পণ

বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার পলাতক আরেক অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2019, 09:15 AM
Updated : 7 Oct 2019, 09:15 AM

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণের পর অভিযুক্ত অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আসামিকে শিশু আদালতে পাঠানো হয়।

বেলা ১টার দিকে শিশু আদালতের বিচার মো. হাফিজুর রহমান মামলার এই ১০ নম্বর আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে যশোর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরআগে গত রোবাবার এ মামলার তিন নম্বর আসামি মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯) ছাড়াও  আরও তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে।

মোহাইমিনুলকে বরগুনা জেলা কারাগারে এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক তিন আসামিকে যশোর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ মামলার পলাতক আট অভিযুক্তের মালপত্র ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

গত ২৬ জুন বরগুনা জেলা শহরের কলেজ রোডে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাতকে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনা হয়।

ওই ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে মামলায় ১ নম্বর সাক্ষী করা হয়।

কিন্তু মিন্নির শ্বশুরই পরে হত্যাকাণ্ডে পুত্রবধূর জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এরপর ১৬ জুলাই মিন্নিকে বরগুনার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে সেদিন রাতে তাকে রিফাত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পরে হাই কোর্ট থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান মিন্নি। আর হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন সাব্বির আহম্মেদ ওরফে নয়ন বন্ড গত ২ জুলাই পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

তদন্ত শেষে পুলিশ যে অভিযোগপত্র দেয়, সেখানে রিফাতের স্ত্রী মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করা হয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত গত ১৮ সেপ্টেম্বর পলাতক নয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

নয়জনের মধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক একজন গত ২ অক্টোবর বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেন।

সোমবার দুপুর পর্যন্ত রিফাত হত্যা মামলায় ১৫ জন আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে এবং ছয়জন আসামি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। যাদের মধ্যে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও আরিয়ান শ্রাবন জামিনে রয়েছেন।

সোমবারের আত্মসমর্পণের পর আরও তিন আসামি পলাতক থাকলেন। যাদের মধ্যে অভিযোগপত্রের ৬ নম্বর অভিযুক্ত মো. মুসা (২২) এবং ৬ ও ৯ নম্বর অভিযুক্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক আসামি রয়েছেন।