আব্দুস সাত্তার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান বলে জানিয়েছেন কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ডেপুটি জেলার মো. জাহাঙ্গীর আলম।
পটুয়াখালী সদরের মৃত ফজলে করিম প্যাদার ছেলে নিহত আব্দুস সাত্তার প্যাদা (৭৬) মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দী ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধকালে পটুয়াখালীর ইটাবাড়িয়া গ্রামে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, আটকে রেখে নির্যাতন, ১৭ জনকে হত্যা এবং ওই গ্রামের অন্তত ১৫ নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে সহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে মৃত্যদণ্ড প্রদান করে।
ওই মামলার নথিতে বলা হয়,পাঁচ আসামির সবাই একাত্তরে ছিলেন মুসলিম লীগ সমর্থক। আর ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার সময় তারা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন।
প্রসিকিউশনের তদন্ত দল পটুয়াখালীতে কাজ শুরু করার পর ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই ৫ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ওই বছর ১ অক্টোবর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। এরপর ১৭ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিদের মাধ্যমে ধর্ষণের শিকার ছয়জনসহ মোট ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে গত বছরের ১৩ অগাস্ট এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাকে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে স্থানান্তরিত হয়।
ডেপুটি জেলার জাহাঙ্গীর আলম জানান, শনিবার দুপুরে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে এবং এরপর সেখান থেকে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
“অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে মারা যান তিনি।”