অগ্নিদগ্ধ ইসমত আরা উপজেলার মেকুরটারি গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক শহিদুলের স্ত্রী। তাকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবু মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে তাকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
“তার শরীরের ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। আশা করা যায় তিনি চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠবেন।”
সরকারি সরবারহ নেই এমন ওষুধ কেনার জন্য সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
চিকিৎসাধীন ইসমত আরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বছর পাঁচেক আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিছুদিন ধরে শহিদুল তাকে প্রায়ই টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন। কয়েক দিন আগে সেলাই কাজ করে ৯০০ টাকা পান ইসমত আরা। এই টাকা শহিদুল চেয়েছিলেন। তাকে না দিয়ে ইসমত আরা পাওনাদারকে দেন।
“মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে সে আমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
পরে তার ভাসুর তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন বলে তিনি জানান।
ইসমত আরা বলেন, সকালে তার শাশুড়ি এসে আবার চলে গেছেন। তার বাবার বাড়ি রংপুর। তাদের খবর দেওয়া হয়েছে। এখন তাকে দেখাশোনা করছেন পাশের বেডের এক রোগীর স্বজন।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ওসি কৃষ্ণ কুমার সরকার বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।