শনিবার সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি।
‘রোহিঙ্গা সংকট সংকটই আছে’ আছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটার সমাধান অবশ্যই হবে।”
তবে বিএনপি নেতারা রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সরকার কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করে আসছে।
হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াও পেছনে ফেলে ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখ রোহিঙ্গা। এর আগে ২০১১ সালেও দলে দলে রোহিঙ্গার তাদের দেশ ছেড়ে আসে।
২০১৭ সালের অগাস্টে রোহিঙ্গা জনস্রোত যখন নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে শুরু করার এক মাস পর এই জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে এ সংকটের সমাধানে পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমি অনুরোধ করব, এই সমস্যার অনিশ্চয়তার বিষয়টি যেন সকলে অনুধাবন করেন। এই সমস্যা এখন আর বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না।”
১১ লাখ রোহিঙ্গার ভার বহন করে চলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সকল প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিষয়টি এখন আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপরন্তু ক্রমবর্ধমান স্থান সঙ্কট এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের কারণে এই এলাকার পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।”
শনিবার সুনামগঞ্জ প্রেস ক্লাবে পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ভালোই আছে, চাপ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
“মিয়ানমার শেষ পর্যন্ত বোধয় এটা ঠেকাতে পারবে না। তারা তাদের নাগরিকদের স-সম্মানে, নিরাপদে মূল ভিটায় ফিরিয়ে নেবে, সে ব্যবস্থা হবে।”
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, জেলা প্রশাসক আব্দুল আহাদ, রিপোর্টার্স ইউনিটিরি সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, প্রেস ক্লাব সভাপতি পঙ্কজ দে, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মহিম উপস্থিত ছিলেন।