এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এখান থেকে ৭.৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের ১০ শতাংশ প্রকৃতি থেকে সংগ্রহের অংশ হিসেবে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান প্রকৌশলী (প্লান্ট ম্যানেজার) হারুনর রশিদ জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কোম্পানির চারটি বিদ্যুৎ ইউনিট থেকে প্রায় ১১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এর পাশেই নিজস্ব অর্থায়নে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এজন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে একজন প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।”
প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোহায়মেনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশে সয়দাবাদ ইউনিয়নের বড়শিমুল ও পঞ্চসোনা মৌজায় ২২.৭৮ একর জমির উপর সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৮ কোটি টাকা।
“আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ইপিসিভুক্ত চীনের জংনান ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন লিমিটেড প্রকল্পের ঠিকাদার নিযুক্ত হয়েছে।”
ইতিমধ্যেই তাদের নিয়োগকৃত সিরাজগঞ্জের রিজভী কনস্ট্রাকশন মাটি ভরাট ও জায়গা প্রস্তুতের জন্য সাব-ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেছে বলে জানান মোহায়মেনুল।
তিনি আরও জানান, প্রকল্পের ২২.৭৮ একর জায়গার মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ ১২.৪৩ একর দিয়েছে; ৬.৬০ একর জায়গা জেলা প্রশাসক বন্দোবস্ত দিয়েছেন; বাকি ৩.৭৫ একর জায়গা নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের নিজস্ব।
২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ২০২০ সালের জুনে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়া কথা রয়েছে বলে জানান মোহায়মেনুল।