জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের নেতৃত্বে সোমবার সকালে জেলা শহরের মাছুলিয়া মাহমুদাবাদ এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়।
আগেই উচ্ছেদ অভিযানের কথা জানাজানি হওয়ায় অনেককে নিজ উদ্যোগে তাদের স্থাপনা অপসারণ করতেও দেখা গেছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, হবিগঞ্জ শহর ঘেঁষা পুরাতন খোয়াই নদীর বিশাল ভূমি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল। এতে বহুতল ভবনসহ শত-শত অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে।
“সচেতন মহলসহ স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবী জানিয়ে আসলেও দখলদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।“
জেলা বাপা’র সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জুল সোহেল বলেন, “পুরাতন খোয়াই নদী দখলমুক্ত করা হচ্ছে এটা আমাদের হবিগঞ্জবাসীর জন্য আনন্দের বিষয়।
“আমরা পরিবেশবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত এই নদী দখলমুক্ত করতে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমরা চাই প্রশাসন সফলভাবে এ কার্যক্রম সম্পন্ন করবে এবং পুরাতন খোয়াই দখলমুক্ত করে জনগণের চলাচলের জায়গা উন্মুক্ত করবে।”
এদিকে পুরাতন খোয়াই নদীর আড়াই কিলোমিটার এলাকাকে নান্দনিক করাসহ ‘খোয়াই রিভার সিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে ১ হাজার ৮৭২ কোটি টাকার যে প্রকল্পটি সংশোধন করে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করে একনেকের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন।