বুজরুক পাকুরিয়া গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করলেও এই সেতুটির সংযোগ সড়কের মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। ফলে এই গ্রামের লোকজনদের প্রায় তিন কিলোমিটার পথ ঘুরে সাদুল্লাপুর উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষক আছির উদ্দন বলেন, সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। এলাকার শত শত মানুষকে বিকল্প সড়ক ঘুরে চলাচল করতে হচ্ছে। ফলে আমরা নানা ধরনের দুর্ভোগে পড়েছি।
একই গ্রামের শিক্ষক ইয়াছিন আলী বলেন, “সেতুটি নির্মাণের পর দীর্ঘদিনের এই সড়কটির অপমৃত্যু হল।”
এলাকাবাসী জানায়, বুজরুক পাকুরিয়া গ্রাম থেকে সাদুল্লাপুর-ঠুটিয়াপকুর পাকা সড়কে উঠার এই সংযোগ সড়ক ওই গ্রামের বেলাল হোসেনের বাড়ি থেকে এছাহাক আলীর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার মাটির সড়ক।
মাটির সড়কটির দুই পাশের কৃষি জমির পানি নিষ্কাশনের জন্য ‘প্রায় ১৫ বছর আগে’ এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়। ‘এসডিএফ’ নামের একটি বেসরকারী সংস্থা এই সেতুটি নির্মাণ করে।
এসডিএফ-এর তৎকালীন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি আবেদ আলী বলেন, সেতুটি নির্মাণের পর মাটি ভরাটের জন্য কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই এখনো মাটি ভরাট করা যায়নি।
খোর্দ্দকোমরপুর ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম চৌধুরী শামীম দাবি করেন, সেতু নির্মাণের আগে থেকেই এই সড়ক দিয়ে মানুষজনের খুব একটা চলাচল ছিল না।
তাহলে এই সেতু নির্মাণের কারণ জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “সেটা আমার জানা নেই।”
সেতু বিষয়ে জানতে চাইলে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নবীনেওয়াজ জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।