আহত সুরভী ইসলাম পপিকে (৩৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ঘটনার পর ভলুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
সৈয়দপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল হাসনাত জানান, বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট মহল্লার বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ভলুর দ্বিতীয় স্ত্রী পপি তার সাত বছরের এক মেয়েকে নিয়ে ওই বাসায় ছিলেন। এ সময় ভলু ছিলেন তার পাওয়ার হাউস এলাকার বাসায়।
পপির মেয়ে তাসফিয়া লাবিবা চৌধুরী অদ্রির (৭) ভাষ্য, মায়ের চিৎকারে তার ঘুম ভেঙে যায়। এ সময় সে জীবন ও রাজা নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তিকে চাকু হাতে দেখতে পায়। ধস্তাধস্তির পর রাজা ও জীবন পালিয়ে যান। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পপিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়।
ভলু বলেন, “ঘটনার সময় আমি পাওয়া হাউস এলাকার বাসায় ছিলাম। খবর পেয়ে ছুটে। স্ত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে সৈয়দপুর হাসপাতালে, পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি।
“জীবন ও রাজা আমার পূর্বপরিচিত। একই মহল্লায় তাদের বসবাস হওয়ায় তারা বিভিন্ন সময় আমার বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। তারা আমার বাড়ির বাজার করে দিতে প্রায়ই। আমরা ধারণা, আমার স্ত্রী যখন বাজার খরচের জন্য ড্রয়ার ও আলমারি খুলে তাদের টাকা দিত, তখন টাকা ও স্বর্ণালংকার দেখে তাদের লোভ হয়। তারা আমার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা চালাতে পারে।”
তিনি ওই দুইজনের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় মামলা করবেন বলে জানান।
এদিকে ভলুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিদর্শক হাসনাত বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তদন্ত চলছে।
“এ পর্যন্ত আমরা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে আহত পপির স্বামী ভলুকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”