বৃহস্পতিবার সিরাজকান্দিতে নিকরাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার ও ইউপি সদস্য নুর আলম মন্ডল (নুহু মেম্বার) গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের পাঁচজন হলেন মান্নান খাঁ (৫৫), আব্দুল ছবুর সরকার (৬০), ফজলু মিয়া (৩৫), লাল মিয়া (৩২) ও স্বাধীন সরকার (২৮)। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
গুরুতর আহত হওয়ায় সাতজনকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে এবং বাকিদের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ভূঞাপুর থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম।
নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন সরকার বলেন, বালুর ঘাটে আধিপত্য বিস্তার করার জন্য দেশীয় অস্ত্রসহ নুহু মেম্বার, সাইদ ও বাবুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।
হামলায় তার পক্ষের আটজন আহত হয়েছে এবং এদের মধ্যে চারজনকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান মতিন।
ইউপি সদস্য নুর আলম মন্ডল (নূহু মেম্বার) বলেন, চেয়ারম্যান মতিন সরকারের ভাই মমিন সরকারসহ কয়েকজন মিলে দেশি অস্ত্র নিয়ে সিরাজকান্দি বাজারের কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়।
তাদের বাধা দিতে গেলে তার গ্রুপের ছয়জন আহত হয় বলে নূহু মেম্বারের দাবি।
রাত সাড়ে ৯টার দিকেও মতিন গ্রুপের লোকজন তার লোকজনের বাড়িঘরে হামলা করেছে বলে নূহুর দাবি।
ভূঞাপুর থানার ওসি রাশিদুল ইসলাম বলেন, সিরাজকান্দি বাজারে বালুঘাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে সেটি সংঘর্ষে রুপ নেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
সর্ঘষে উভয়পক্ষের ১২ জনের মতো আহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।