বুধবার বিকালে ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই মানববন্ধন হয়। এতে এলাকার সকল শ্রেণিপেশার নারী-পুরুষ অংশ নেন।
গত ৩ সেপ্টেম্বর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন বাবুল মিয়া(২৪)।
একই সময়ে বিএনএফের সদস্যরা সাইফুল ইসলাম (১৪) নামের এক কিশোরকে ধরে নিয়ে যায়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পূর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান, নিহত বাবুলের স্ত্রী রজিফা বেগম, বাবা নুর মোহাম্মদ, মা আছিয়া খাতুন, বড় ভাই রাসেল মিয়া, ছোট ভাই লিটন ও খোকন, বোন পারভিন আক্তার, নার্গিস আক্তার, সিমু আক্তার, আন্না বেগম।
তারা নিহত বাবুলের লাশ ও আটক থাকা সাইফুলকে ফেরতের দাবি জানান।
ঘটনায় ৯ দিনেও লাশ ফেরৎ না পেয়ে কথা বলার সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বাবুলের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় সেখানে এক শোকাবহ পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা ও লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম তিস্তা নদীর চর সীমানায় গরু চড়াতে ও ঘাস কাটতে গেলে সীমান্তের ৭৭২ প্রধান পিলালের কাছে বিএসএফের গুলিতে ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের বাবুল মিয়া নিহত হন। এ সময় পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের সাইফুল ইসলাম আহত হয়। বাবুলের লাশ এবং আহত সাইফুলকে বিএসএফ ভারতে নিয়ে যায়।