মেট্রোরেল বিএনপি স্বপ্নেও দেখেনি: কাদের

মহাসড়কে টোল আদায়ের বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থানের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে যে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, এমআরটি আর মেট্রোরেল হচ্ছে, এগুলো তারা স্বপ্নেও দেখেনি।

মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলমান বিআরটি প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে কাদের এ কথা বলেন।

সেতু ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেশে এত সড়ক-মহাসড়কের মুখও তারা (বিএনপি) দেখেনি। দেশে যে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট, এমআরটি আর মেট্রোরেল যে হচ্ছে, আজকে ফ্লাইওভার হচ্ছে, ফোরলেন হচ্ছে, এগুলো তারা স্বপ্নেও দেখেনি। দেশে রাস্তা হবে, রাস্তা ফোর লেন হবে, সিক্স লেন হবে, সার্ভিস লেন হবে।

“টোল দিলে রাস্তা চলাচলে যে সুবিধাটুকু পাবে, এটা জনগণই পাবে। পৃথিবীর সব দেশে, যেসব দেশে এক্সপ্রেসওয়ে, নতুন নতুন ফোর লেন, সিক্স লেন আছে, সেখানেও কিন্তু টোলের ব্যবস্থা আছে। রাস্তা মেনটেইন করতে, সংস্কার করতে টাকা দরকার। এ টাকা কোত্থেকে আসবে? সরকার শুধু বারবার নতুন রাস্তা করবে, সেই রাস্তা যারা ব্যবহার করবে তাদের কোনো দায়দায়িত্ব নেই? এ ব্যাপারে অন্য দেশের অভিজ্ঞতা জানা থাকলেও বিএনপি চোখ থাকতে অন্ধ হয়ে আছে।”

গত মঙ্গলবার একনেক সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জাতীয় মহাসড়কগুলোকে টোলের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। মহাসড়কে টোল আদায়ের এ সিদ্ধান্তকে ‘গণবিরোধী’ আখ্যায়িত করে এর বিরোধিতা করে বিএনপি।

মন্ত্রী কাদের বলেন, “বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রজেক্ট বাংলাদেশের জন্য একটা নতুন প্রজেক্ট। এটা শেখ হাসিনা সরকারের একটা মেগা প্রজেক্ট। ২০২১ সালের জুন মাসে এ প্রজেক্টের কাজ শেষ হবে। এর সুফল আসবে এবং জনস্বার্থে কাজে লাগবে। এটা শেষ হলে যানজটের যে অসহনীয় অবস্থা তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। এটা আমি নিশ্চিত।

“যেসব দেশে বিআরটি প্রজেক্ট আছে সেখানে এর সুফলটা কিভাবে পাচ্ছে, তাদের সেই অভিজ্ঞতা আমাদের জানা আছে। এ কাজটির গতি বাড়াতে সংশ্ল্ষ্টিদের নির্দেশ দিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকেও মনিটরিং করা হচ্ছে।”

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম, গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন, সড়ক ও জনপথের ঢাকা জোনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুদ্দিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।