এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ সুজ্জল (৪০) নামের দুই সন্তানের জনককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার সুজ্জল পাবনা সদরের বাড়াদি এলাকার বদর শাহের ছেলে।
হত্যা প্ররোচনার মামলার নথি থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে যাতায়াতের পথে সুজ্জল একই এলাকার নবম শ্রেণির এই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত মঙ্গলবার সকালে মেয়েটি পারিবারিক কাজে প্রতিবেশীর বাড়ি যাওয়ার সময় পথে সুজ্জল শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে।
মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, মেয়েটি বিষয়টি বাড়ি গিয়ে পরিবারের লোকজনকে জানায় এবং এরপর যথারীতি স্কুলে চলে যায়। স্কুল থেকে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর মা তাকে ডেকে এনে সুজ্জলের বাড়ি গিয়ে বিচার চাইলে সুজ্জলের পরিবারের লোকজন তাদের নানা অশালীন ভাষায় গালাগাল করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এরপর মেয়েটি সেখান থেকে দৌড়ে বাড়ি গিয়ে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে মামলায় বলা হয়।
বাড়াদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুর রহমান বলেন, “মেয়েটি গতকালও স্কুলে এসেছিল। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তার মা এসে ডেকে নিয়ে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরেই শুনি সে আত্মহত্যা করেছে। পরে জানতে পারি সুজ্জল নামের এক বখাটের শ্লীলতাহানির অপমান সইতে না পেরে সে আত্মহত্যা করেছে।”
তিনি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
নিহত ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই সুজ্জলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল তার মেয়ে। সামাজিকভাবে বিচার চেয়েও কোনো ফল হয়নি। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।”
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি নাসির উদ্দিন বলেন, স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবার করা মামলার আসামি সুজ্জলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তদন্তে আরও কেউ জড়িত প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।