শনিবার দুপুরে উপজেলার রতনকান্দি এলাকায় একটি শালিস বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওসমান মোল্লা (৫০) রতনকান্দি এলাকার বাসিন্দা।
আহতদের মধ্যে ওসমান গণি (৫০), শামসুল আলম (৫০), রহিমা খাতুন (৫০) ও শরিফ উদ্দিনকে (২৫) সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, হাবিবুল্লাহনগর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ গ্রুপের সঙ্গে একই গ্রামের তারাব আলী মোল্লার লোকজনের মধ্যে সমাজ ভাগ করা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল।
বিষয়টির আপস মীমাংসার জন্য শনিবার দুপুরে রতনকান্দি কবরস্থানের পাশের মাদ্রাসায় দুইপক্ষ সালিশ বৈঠকে বসে।
শালিশ বৈঠকে এক পর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকরা লাঠি, রামদা ও হাসুয়াসহ নানা দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে আহত ওসমান গনি ও শামসুল আলমকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। বগুড়ায় নেওয়ার পথে ওসমান মোল্লার মৃত্যু হয়।
শামসুল আলমের অবস্থা আশংকাজনক বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
শাহজাদপুর থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তারাব আলী গ্রুপের প্রধান তারাব আলীসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।