বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন।
মৃত তপন কুমার মণ্ডল (৩৫) মাদারীপুর সদর উপজেলায় স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইলবাড়ী গ্রামের জদুনাথ মণ্ডলের ছেলে।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন শফিকুল ইসলাম বলেন, তপন কুমার মণ্ডল ১৬ দিন আগে সরকারি আদেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গু প্রতিরোধ কার্যক্রমে যোগ দেন। সেখানে কর্তব্যরত অবস্থায় গত ১১ অগাস্ট ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তিনি।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থতা বাড়লে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তার রক্তের প্লাটিলেট ৩০ হাজারে নেমে আসে।
“পরে তাকে ঢাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বুধবার থেকে তাকে আইসিউতে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।”
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অধ্যাপক ডা. সবুর মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তপন কুমারকের তাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
“সে আগে থেকেই ডেঙ্গু সাফার করছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষায় তার ডেঙ্গু ধরা পড়েছিল। সেখান থেকে ফরিদপুর চলে গিয়েছিল। অবস্থা খারাপ হলে সেখানকার একটা হাসপাতালে ভর্তি হয়। প্লাটিলেট ফল করার পর সে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়।”
সেখানে অবস্থা আরও খারপ হলে তাকে ঢাকায় আনা হয় বলে জানান সবুর মিয়া।
“সেখানে দেখা যায় তার প্লাটিলেট ৩৫ হাজারের নিচে নেমে গেছে। সে অচেতন হয়ে যায়। এ অবস্থায় কাল আমাদের এখানে এসেছিল। তার ব্রেইন ডেড হয়ে যায় এবং আজ বেলা ১১টার দিকে সে মারা যায়।”