রোববার ও শনিবার এরশাদ নগর ৪ নম্বর ব্লকে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় টঙ্গী পূর্ব থানায় অভিযোগ দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদেরকে ফের হামলার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা।
আহতরা হলন এরশাদ নগর ৪ নম্বর ব্লকের বাসিন্দা রনি (১৬), তার বাবা মোজাম্মেল হক বাচ্চু, মা, বোন কলেজছাত্রী সোনিয়া (১৭) ও বাড়িওয়ালা আয়েশা আক্তার (৪০)।
তারা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পূর্ব থানায় রনির বাবা মোজাম্মেল হক বাচ্চু লিখিত অভিযোগ করায় সন্ত্রাসীরা তাদের হুমকি দিচ্ছে। এতে পরিবারের লোকজন নিয়ে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।
বাচ্চু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় সেলিম (৪০), তার ছেলে নাজমুল (১৮) ও শুক্কুর আলীর ছেলে ইয়ামিন (২০) অজ্ঞাত ৫/৬ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী লোক নিয়ে শনিবার রাত ১০টার দিকে তাদের বাসায় ঢোকে। পরে তারা রনিকে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
“এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাকে গলায় গামছা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় বাড়ির লোকজনের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে আমাদের খুন-জখমের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।”
বাচ্চু বলেন, “পরদিন রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আবার তারা আমাদের বাসায় ঢুকে রনিকে এলাপাথারি মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তাদের সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে পেটে ও বুকে আঘাত করতে গেলে রনি তা হাত দিয়ে ফেরায়।”
এ সময় রনির হাত ও নাকে চাকুর আঘাত লেগে রক্তাক্ত জখম হয় বলে বাচ্চু জানান।
“তাকে বাঁচাতে রনির মা, বোন ও বাড়িওয়ালা আয়েশা আক্তার এগিয়ে গেলে তাদেরও তারা এলোপাথারি মারধর করে। পরে তারা ড্রেসিং টেবিলে থাকা ২০ হাজার টাকা ও ২৫ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন লুটে নেয়।”
বাচ্চু বলেন, আবারও তাদের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীর খুন-জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করায় সন্ত্রাসীরা ওই অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে এবং তাদের পরিবারের লোকজনকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে।
অভিযোগের পর টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে তিনি জানান।
টঙ্গী থানার এএসআই শুভ মন্ডল বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে কথা কাটাকাটি এবং মারামারির ঘটনা ঘটলেও কেউ বড় রকমের কোনো জখম হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।