ফেনীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩৮ জন

ফেনী সদর হাসপাতালে গত ১৫ দিনে ৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন; যাদের বেশির ভাগই এসেছেন ফেনীর বাইরে থেকে।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 July 2019, 01:56 PM
Updated : 26 July 2019, 01:56 PM

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু তাহের পাটোয়ারী বলেন, “গত ১৫ দিনে এ হাসপাতালে ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে ৩৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন পাঁচজন।

“তাদের বেশির ভাগই ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়েছেন। হাসপাতালে সাধারণ ওয়ার্ড, কেবিন ও শিশু ওয়ার্ডে রয়েছেন তারা। অতিরিক্ত রোগীর ভিড়েও সতর্কতার সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ১৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন।”

এই রোগীরা সবাই ফেনীর বাইরে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন বলে তিনি জানান।

হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা রয়েছেন হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বারান্দায়, বিশেষ বেড ও কেবিনে, নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় সাধারণ ওয়ার্ডে ও শিশু ওয়ার্ডে।

চিকিৎসাধীন তাফহিমুল সাওয়ারি ইলেন (১৮) বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং করতে ঢাকা গিয়ে অসুস্থ হন। বাড়ি ফিরে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে ফিরেছে সোনাগাজী উপজেলার সোনাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী কাজী নজরুল ইসলাম আকাশ (১৩)।

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মালিপাথর এলাকার অটোরিকশা চালক মো. শরীফ বলেন, তিনি রাজধানী ঢাকায় ল্যাব এইড হাসপাতালে তার মাকে চিকিৎসা করানোর জন্য নিয়ে গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ফিরে এসে এই হাসপতালে ভর্তি হয়েছেন।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বিধানচন্দ্র সেনগুপ্ত জানান, তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সবাই ফেনীর বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৪ জন রোগী। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতপালে পাঠানো হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন নিয়াতুজ্জামান বলেন, ফেনীতে এখন পর্যন্ত কোনো এডিস মশার জীবাণু আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি। আক্রান্তরা সবাই এসেছেন ফেনীর বাইরে থেকে।

“এডিস মশার জীবাণুতে আক্রান্ত কোনো রোগীকে মশা কামড় দিলে সে মশার মাধ্যমে ডেঙ্গুর জীবাণু ছাড়াতে পারে। এজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। যথাসময়ে চিকিৎসা শুরু করা গেলে এ রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।”

জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান বলেন, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশা থেকে জেলাবাসীকে রক্ষা করতে সপ্তাহব্যাপী মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।

“পরিস্কার পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয়। বিশেষ করে ফুলের টব, ডাবের খোসা, এসির পানিতে এ মশা জন্ম নিতে পারে। তাই এগুলো সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জনগণকে সবার আগে সচেতন হতে হবে।”