মুন্সীগঞ্জে আ. লীগের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০

মুন্সীগঞ্জ সদরে ‘আধিপত্য বিস্তার’ নিয়ে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2019, 05:16 PM
Updated : 16 July 2019, 05:17 PM

মঙ্গলবার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের নোয়াদ্দা ও ঢালীকান্দিসহ চারটি গ্রামে এ সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

স্থানীয় স্বপন মেম্বার ও মেজবাউদ্দিন মিজু মেম্বারের পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নারীসহ ১০ জনকে আটক করেছে।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন নুর উদ্দীন সরকার (৫০), সোলেমান গাজী (৪০), আকরাম খান (৩২), আবু সাঈদ (৫৬), রহমত উল্লাহ (১৭), আবুল কালাম (৩৫), মো. সুজন (৩৫), তাসলিমা (৫০), শাহনাজ (৩০) ও কলেজ ছাত্র মো. সাকিল (১৯)।

আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ আবু সাঈদ (৫৬), নূর উদ্দিন সরকার (৫০), সোলেমান গাজী (৪০) ও আকরাম খানকে (৩২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ও ইউপি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন দেওয়ান ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউপি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেজবাউদ্দিন ঢালীর মধ্যে বিরোধের জেরে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছিল।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশাদুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে স্বপন দেওয়ানের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লোক নোয়াদ্দা ও ঢালীকান্দি এলাকাসহ ৪টি গ্রামে হামলা চালায়। হামলাকারীরা হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এ সময় গুলির ঘটনাও ঘটে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বশাক বলেন, মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন থেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা গুলিবিদ্ধ চারজনকে ঢাখা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহতদের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র ও হাতবোমার স্প্লিন্টারের আঘাত রয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে মেজবাউদ্দিন ঢালী বলেন, “এলাকায় আমার নিরীহ মানুষদের উপর আচমকা হামলা চালায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী স্বপন বাহিনী।”

স্বপন দেওয়ান বলেন, “বাজারে আসলে আমার উপর হামলা চালানো হয়। পরে আমার লোকেরা পাল্টা হামলা চালায়।”

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষীদের গ্রেপ্তারে চিরুনি অভিযান চালানো হচ্ছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খন্দকার আশাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নারীসহ ১০ জনকে আটক করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।