ভারি বর্ষণ: পানি জমে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যানচলাচল বিঘ্নিত

ভারি বর্ষণে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে হাঁটু পরিমাণ পানি জমে গেছে; এ অবস্থার মধ্যে একটি ট্রাক বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2019, 05:21 AM
Updated : 14 July 2019, 06:25 AM

রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে বলে গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ সুপার থোয়াই অং প্রু মারমা জানান।

তিনি বলেন, “অতিবৃষ্টির কারণে টঙ্গীর পর থেক ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা-চৌরাস্তা, সাইনবোর্ড, মালেকের বাড়ি, হোসেন মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে পানি জমে গেছে। কোথাও কোথাও জমে গেছে হাঁটু সমান পানি। ফলে যানবাহন চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।”

এদিকে মহাসড়কের পাশে পয়োঃনিষ্কাশনের পথগুলোতে পলিথিন ও আবর্জনা জমে জলাবদ্ধতার তৈরি হয়েছে। মাঝে-মধ্যে ওই বর্জ্য পরিষ্কার করা হলেও পানিরে তোড়ে আবার আবর্জনা জমে যাচ্ছে ।

এছাড়া টঙ্গী পূর্ব থানা চত্বরেও জলাবদ্ধতা এবং হাঁটু সমান পানি জমে গেছে জানান তিনি।

ঢাকার আজিমপুর-গাজীপুর রুটে চলাচলকারী ভিআইপি পরিবহনের পরিচালক মো. রিপন বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে  মহাসড়কে পানি  জমে যাওয়ায় এবং যানজটের কারণে চালকরা অনেকেই গাড়ি ছাড়েনি।

জয়দেবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সামিহা হোসেন রিফা বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে চান্দনা-চৌরাস্তা মহাসড়কে পানি জমে গেছে। ওই এলাকায় কোনো রিকশাও চলতে না দেওয়ায় পথচারীদের মহাসড়কের নোংরা পানির মধ্যেই হেঁটে যেতে হচ্ছে।

এ অবস্থায় সে স্কুলে যেতে পারেনি বলে সামিহা জানায়।

পুলিশ সুপার বলেন, “সাইনবোর্ড এলাকায় বিকল হয়ে পড়া ট্রাকটি সকাল ৯টার দিকে রেকার নিয়ে সরানো হয়েছে। কিন্তু ওই সড়কে প্রায় কোমর সমান পানি জমে যাওয়ায় এবং বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহন চলাচল পারছে না।”

তিনি বলেন, গর্তগুলো পাথর-ইটের সুরকি দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে; কাজ শেষে হয়ে গেলে দ্রুতই গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিআরটি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোমেনুল ইসলাম বলেন, অতিবৃষ্টির কারণে কামারজুরি খালের পানি ওভারফ্লো হয়ে মহাসড়কে উঠে পড়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

“মহাসড়কের জমে থাকা পানি বিকল্প নালা তৈরি করে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কের ড্যামেজ সেকশনের সারাই কাজও চলছে।”