রাজশাহীর পথে ট্রেন চলতে বিকাল গড়াবে

রাজশাহীর চারঘাটে লাইনচ্যুত তেলবাহী ট্রেনের বগিগুলো উদ্ধার করে লাইন মেরামত শেষে আবার ট্রেন চলাচল শুরু করতে বৃহস্পতিবার বিকাল গড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

বুধবার সন্ধ্যায় চারঘাট উপজেলার দিঘলকান্দি এলাকায় ওই দুর্ঘটনার পর থেকে রাজশাহীর সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় তেলবাহী এই ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ওই জেলার সঙ্গে সব রুটে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বুধবার সন্ধ্যায়, বৃহস্পতিবার বিকালেও ট্রেন চালু হয়নি।

লাইন ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়া নয়টি ক্যারিজের মধ্যে বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত চারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেই ঈশ্বরদী থেকে আসা রিলিফ ট্রেন দিয়ে বাকি ক্যারিজগুলো দ্রুত সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। 

রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জাহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “উদ্ধার কাজ শেষ হতে বিকাল হয়ে যাবে। বিকাল ৪টায় পদ্মা এক্সপ্রেস রাজশাহী থেকে ঢাকার পথে ছেড়ে যাওয়ার সূচি রয়েছে। আমরা আশা করছি, লাইন মেরামত শেষ হলে পদ্মা ছেড়ে যেতে পারবে।”

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় তেলবাহী এই ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ওই জেলার সঙ্গে সব রুটে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বুধবার সন্ধ্যায়, বৃহস্পতিবার বিকালেও ট্রেন চালু হয়নি।

স্টেশন মাস্টার জানান, দুর্ঘটনার পর রাতে রাজশাহী থেকে দুটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছিল। আর সকাল থেকে ঢাকা রুটের আন্তঃনগর বনলতা এক্সপ্রেস, আন্তঃনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, খুলনা রুটের সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ও কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, নীলফামারীগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস, রাজবাড়ীগামী রূপসা এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি লোকাল ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়েছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় তেলবাহী এই ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ওই জেলার সঙ্গে সব রুটে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বুধবার সন্ধ্যায়, বৃহস্পতিবার বিকালেও ট্রেন চালু হয়নি।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা তেলবাহী ট্রেনটি ঈশ্বরদী জংশন হয়ে কাটাখালী দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুরের দিকে যাচ্ছিল।

কিন্তু সন্ধ্যায় রাজশাহীর সারদা স্টেশন পেরিয়ে দিঘলকান্দি এলাকায় পৌঁছে ট্রেনের নয়টি ক্যারেজ লাইন থেকে বেরিয়ে যায়।এ অবস্থায় রাজশাহীর সঙ্গে সব জেলার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় তেলবাহী এই ট্রেনের নয়টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় ওই জেলার সঙ্গে সব রুটে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বুধবার সন্ধ্যায়, বৃহস্পতিবার বিকালেও ট্রেন চালু হয়নি।

ঠিক কী কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কর্মকর্তাদের কেউ কেউ বৃষ্টিতে লাইনের নিচের মাটি সরে যাওয়ার কথা বলেছেন। 

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া পশ্চিমাঞ্চল রেলের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।