প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক শঙ্কর কুমার সাহা জানান, ২০১৫ সালে চাঁদপুরের ব্যবসায়ী মো. শাহাবুদ্দিন অনু স্কুলটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ১১৬ শতক জমি কিনে তিনি নিজ উদ্যোগে এটি গড়ে তোলেন।
এখানে প্লে থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত বর্তমানে প্রায় ১৬৮ জন শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে এখানে কাজ করছেন ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। আশা করি আগামী বছর থেকে হাইস্কুল চালু হবে। পর্যায়ক্রমে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করা হবে। আমাদের এই বিদ্যালয় দেশের একটি মডেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
শিক্ষাপদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন ও মিসেস জোনাকি আক্তার বলেন, নিয়মিত চারজন শিক্ষকের সমন্বয়ে পাঠ দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা যেন সহজেই পড়া বুঝতে ও মনে রাখতে পারে সেজন্য ‘অত্যন্ত যত্ন নিয়ে পড়ানো হয়।
এখানে ঘুরতে এসেছিলেন গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সাজ্জাদসহ পাঁচ বন্ধু।
“তাই আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে এখানে ঘুরতে এলাম। প্রতিষ্ঠানটির ভবন ও পরিবেশ দৃষ্টিনন্দন। এমন পরিবেশে শিশুরা এমনিতেই বিদ্যালয়মুখী হবে। তাছাড়া তাদের মানসিক বিকাশ ঘটবে বলেও আমি বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, “আমি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। কোথাও এমন দৃষ্টিনন্দন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেখিনি। এটি শুধু বিদেশেই সম্ভব বলে মনে করতাম। আমাদের চাওয়া সমাজের বিত্তশালীরা এবং সরকার যদি এমন প্রতিষ্ঠান আরও গড়ে তোলে তবে দেশের শিক্ষার মান ও পরিবেশ ভাল হবে।”