খুঁটিগুলোকে ঘিরেই সড়ক প্রশস্তকরণের খোঁড়াখুঁড়ি, ইট, বালু, খোয়া বিছানো ও রাস্তার কার্পেটিংয়ের কাজ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এতে বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রাস্তার মাঝে এবং আশপাশে থাকা এসব খুঁটি যেকোনো সময় হেলে পড়তে পারে। এতে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এসব ঝুঁকির মধ্যেই প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে পথচারী ও যানবাহন চলাচল করছে।
সড়ক বিভাগ খুঁটি অপসারণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। এতে কোনো কাজ হয়নি। তাই ঠিকাদার রাস্তার উপর বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
পথচারী জামিল মোল্লা বলেন, রাস্তায় বিপজ্জনকভাবে বিদ্যুতের খুঁটি রেখে কাজ করা হচ্ছে। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটে যানমালের ব্যপক ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি এ সড়কে যানবাহন চলাচলেও যেকোনো সময় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে।
“তাই হাই কোর্টের নিদের্শনা মেনে দ্রুত খুঁটি অপসারণসহ নিয়ম মেনে সড়কের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি।”
বাস চালক শাহজাহান বলেন, এ স্থান দিয়ে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন চলে গেছে। পাশাপাশি স্থানীয় বিদুৎ সরবরাহ লাইনও রয়েছে। এলোমেলো অবস্থায় রাস্তার মাঝে এবং এখানে-সেখানে বিদ্যুতের খুঁটি রয়েছে। এগুলো না সরিয়ে রাস্তার কাজ করা হচ্ছে।
“এতে এ সড়কে চলাচলকারী মানুষ ও যানবাহন বিশাল ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা দ্রুত বিদ্যুতের খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করছি।”
“আমরা বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে রাস্তার কাজ করছি। ইতিমধ্যে ওই সড়কের প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই বিদ্যুৎ বিভাগ খুঁটি সরিয়ে নেবে বলে আশা প্রকাশ করছি।”
গোপালগঞ্জ বিদ্যুৎ বিভাগের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশীদ এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
সড়ক বিভাগ জানিয়েছে, প্রায় ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামে চৌরাস্তা বাস্তবায়ন করছে ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।