শিক্ষক নিয়োগে ‘প্রশ্ন ফাঁস’: ১১ শিক্ষক বরখাস্ত

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সন্দেহে আটক ১১ জন শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2019, 01:17 PM
Updated : 1 July 2019, 01:17 PM

এছাড়া এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আটজনকে দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে (রিমান্ড) দিয়েছে আদালত।

সোমবার তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ জানিয়েছেন।

ওবায়দুল্লাহ বলেন, সাময়িক বরখাস্ত ১১ জনের মধ্যে তিনজন প্রধান শিক্ষক ও বাকি আটজন সহকারী শিক্ষক রয়েছেন। তারা সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করে অপরাধে জড়িয়ে কারাগারে আছেন। এ কারণেই তাদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালে কেন্দুয়ার টেংগুরি এলাকার ব্যবসায়ী শামিম আহমেদের বাড়ি থেকে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের প্রশ্ন ফাঁসকারি চক্রের সদস্য বলছে পুলিশ; এদের মধ্যেই রয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত ১১ শিক্ষক।  

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ৯৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইনে মামলা করেছে।

বরখাস্তরা হলেন কেন্দুয়ার বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ছোটন, সহকারী শিক্ষক মরিয়ম আক্তার, বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাকি ও পানগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুহিন আক্তার, দিগদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মজিবুর রহমান, নওপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হাওয়া বেগম, লিপা মুনালিসা, কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক তাহমিনা আক্তার, মদন উপজেলার জঙ্গলটেঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জেবুন্নাহার ডলি, খাগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক লাকি আক্তার, ও আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক স্মৃতি খানম।

পুলিশ রিমান্ডে পাঠানো আটজন হলেন বলাইশিমুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান ছোটন, নওপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজহারুল ইসলাম, শরিফুজ্জামান ভূইয়া মিন্টু, দিগদাইর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষক মজিবুর রহমান, বিকাশ দে, জুয়েল মিয়া, আবুল বাশার ও বিলাস সরকার।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার এসআই আবুল বাশার জানান, আটজনকে শনিবার নেত্রকোণার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১ এ হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

“সোমবার দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক শরিফুল হক তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”

এসআই বাশার আরও বলেন, “এই চক্রটির সঙ্গে জড়িত আছে এমন  আরও অনেকের নাম তদন্তে বেরিয়ে আসছে। এসব যাচাইবাছাই করা হচ্ছে।”  

প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্য সন্দেহে শুক্রবার ৩২ জনকে আটক করা হয়। আটকের সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ডিভাইস ও প্রিন্টার জব্দ করে পুলিশ।

শনিবার বিকালে তাদের নেত্রকোণা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করে পুলিশ।