পালং মডেল থানার ওসি মো. আসলাম উদ্দিন জানান, উপজেলার পালং ইউনিয়নের পাটনীগাঁও গ্রামে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় আহত সুকুমার মণ্ডল ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
“নিহত ৫০ বছর বয়সী সুকুমারের বাড়ি ওই এলাকায়। দুইদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বৃহস্পতিবার রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।”
ওসি বলেন, পাটনীগাঁও গ্রামের একটি কুকুর নিয়ে স্থানীয় সনাতন মণ্ডলের সঙ্গে সুকুমারের দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে শালিস বসিয়ে একাধিকবার সমাধানের চেষ্টা করা করা হলেও কোনো সুরাহা মেলেনি।
“মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে আবার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুকুমারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে সনাতন। ”
পরে স্থানীয়রা সুকুমারকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের পরামর্শে সুকুমারকে ঢাকায় পাঠানোর হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা বিশ্বজিৎ মণ্ডল বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জ এলাকা থেকে সনাতনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বাদী বিশ্বজিৎ বলেন, “আমার চাচাকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”