শনিবার সকাল ও বিকালে এ দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।
আজমিরীগঞ্জে নিহত হন রমজান মিয়া (৫০) এবং মাধবপুরে নিহত হন রহমত আলী (৩০)।
আজমিরীগঞ্জ থানার এসআই জয়ন্ত তালুকদার বলেন, সকালে রজমান মিয়া উপজেলার সৌলরী গ্রামে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান। বিকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে টমটম অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন।
“অটোরিকশাটি কাকাইলছেও-সৌলরী সড়কের রোনীয়া এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি টমটম অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।”
জয়ন্ত জানান, এতে রমজান মিয়াসহ চারজন আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রমজান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত রমজান উপজেলার শিবপাশা গ্রামের মৃত কালাই উল্ল্যাহর ছেলে। লাশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে বলে জয়ন্ত জানিয়েছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, সকালে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস মাধবপুর উপজেলার শাহ্পুর পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা এমআর পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
“এতে ঘটনাস্থলে রহমত আলী নিহত হন এবং আরও অন্তত সাতজন আহত হন।”
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল বলেও জানান ওসি লিয়াকত।
নিহত রহমত আলী রাজশাহীর পবা উপজেলার কর্ণহার থানাধীন কর্ণহার গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে।