বৈরী আহাওয়ার কারণে নির্ধারিত সময়ের ২৫ মিনিট পর সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে জামাত শুরু হয়। এতে ইমামতি করেন মওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
২০১৬ সালে জঙ্গি হামলা এবং সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলার বিষয়টি মাথায় রেখে সুষ্ঠুভাবে জামাত অনুষ্ঠানের জন্য নেওয়া হয় চার স্তরের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুরো মাঠ ও আশপাশের এলাকা ছিল সিসি ক্যামেরার নজরদারিতে। পাঁচ প্লাটুন বিজিবি, বিপুল সংখ্যক পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা বলয়ের পাশাপাশি মাঠে সাদা পোশাকে নজরদারি করেন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তাছাড়া নামাজ শুরুর আগে পুরো মাঠ কয়েক দফায় তল্লাশি করা হয়। শহরের অলিগলিতে বসানো হয় নিরাপত্তা চৌকি। মাঠের ৩২টি প্রবেশ পথে চেকপয়েন্ট বসিয়ে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশি করা হয়।
বুধবার রাতে বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে সকাল পর্যন্ত। বৃষ্টি উপক্ষো করে ভোর থেকেই মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে ঈদগাহমুখী সকল সড়ক। সকাল ৯টার অগেই কানায় কানায় ভরে যায় মাঠ। মাঠে স্থান না পেয়ে অনেকে আশপাশের রাস্তায় দাঁড়িয়।
রেওয়াজ অনুযায়ী, জামাত শুরুর আগে শর্টগানের ছয়টি ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। জামাত শুরুর পাঁচ মিনিট আগে তিনটি, তিন মিনিট আগে দুটি ও এক মিনিট আগে একটি গুলি ছুড়ে সঙ্কেত দেওয়া হয়।
জনশ্রতি আছে, ১৮২৮ সালে এই মাঠে ঈদের জামাতে সোয়া লাখ মানুষ একসঙ্গে অংশ নেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’ যা এখন শোলাকিয়া নামেই পরিচিত।